ইউএন উইমেন-এর সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনের সারমর্ম এমন- ‘বিশ্ব এখনো নারীদের জন্য সহিংস।’ যদিও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপট এবং তারও আগে থেকে দেশে দেশে দীর্ঘ দিনের নারী আন্দোলনের ফলে পৃথিবীর সর্বত্রই নারীর জীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং আমাদের দেশেও মেয়েরা আগের তুলনায় বেশি এমনকি কখনো কখনো ছেলেদের থেকেও বেশি সংখ্যায় স্কুলে যায়।
কৃষি থেকে ব্যবসা বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রে নারীর দৃপ্ত পদচারণা অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। সরকার প্রশাসনের উচ্চ পদে নারীর অবস্থানসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মজীবী নারীর (কিশোরী থেকে প্রৌঢ়া) সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের অনেকেই আজ সংসারের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিও বটে। তবু পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নারী পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে এখনো নানা ধরনের বৈষম্য বিরাজমান। পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো প্রবলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে নারীকে। প্রথমত এবং প্রধানত নিজ পরিবার থেকেই নারীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, তাকে শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থান তৈরি, সম্পদ সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা বৈষম্য করা, তাকে কথা বলতে না দেওয়া, সর্বোপরি তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে নারীকে নারী করেই রাখা হয়।
এর সুযোগ নেয় সমাজ, নষ্টভ্রষ্ট লম্পট, বদমাশ মানুষ নামের অমানুষ। অমানুষদের লোলুপ দৃষ্টি ও হিংস্র থাবা থেকে কিশোরী কন্যাদের বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেয় তার পরিবার। যার ফলে এখনও দেশে বাল্যবিবাহের হার পঁয়ষট্টি শতাংশ। কৈশোরকালীন মাতৃত্বের হার বাড়ছে। শতকরা আশিজন বিবাহিত নারী জীবনের কোনো না কোনো সময়ে দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়। যৌতুকের জন্য, কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য কিংবা সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হয় এসব নারীকে। পরিবার, সমাজ এদের শুধু সয়ে যাওয়ার শিক্ষা দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠয়ে দেয়। সয়ে যাওয়ার মন্ত্র এখনো অনেক নারীকে নিজের অধিকারের বিষয়ে বোধহীন জড় পদার্থ করে রেখেছে। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে ধর্মের দোহাই। মহীয়সী বেগম রোকেয়ার ভাষায়- ‘যখনই কোনো নারী মস্তক উত্তোলনের চেষ্টা করিয়াছে তখনই ধর্মের দোহাই, শাস্ত্রের বচনরূপ খড়গের আঘাতে সেই মস্তক চূর্ণ করিয়া দেওয়া হইয়াছে।’
ডিজিটাল যুগেও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের পরও প্রতিনিয়ত নারীকে নানান ফতোয়া দিয়ে যখন মোড়কাবদ্ধ করা হয় এবং যখন ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও উত্যক্তকরণের জন্য নারীর পোশাকের দিকেই আঙুল তোলা হয়, তখন নারী যে মানুষ সে কথা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ স্বীকার করে না সেটাই কি প্রমাণ হয় না? একজন তেঁতুল হুজুর যখন বলেন, নারী শুধু চার দেয়ালের ভেতরে থেকে পুরুষের মনোরঞ্জনসহ সন্তান পয়দা করবে আর সংসার সামলাবে, সে চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়বে না এবং নারী তেঁতুলের মতো দেখলেই পুরুষের লালা ঝরবে! আর সে দেশে দাঁড়িয়ে একজন গার্মেন্টস মালিকের প্রতিনিধি রুবানা হক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে যদি বলেন- নারী দিবস কোনো ব্যাপার নয়; he for she নয় she for she হওয়া চাই। তখন তার কাছেই প্রশ্ন রাখছি তিনিই কি she for she হতে পেরেছেন?
যে গার্মেন্টস কন্যাদের শ্রমের মূল্যে কানাডায় বেগমপাড়া তৈরি হয়, যে গার্মেন্টস কন্যাদের শ্রমের মূল্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে, রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার শ্লাঘা অনুভব করেন সেই গার্মেন্টস কন্যাদের শ্রম শোষণ করা হয় সবচেয়ে কম মূল্যে! কী মানবেতর জীবন! কর্মক্ষেত্রে তাদের বেশি করে পানি খেতে দেওয়া হয় না। বেশি পানি খেলে ঘনঘন টয়লেটে যেতে হবে এবং উৎপাদন কমে যাবে বলে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, নির্যাতন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। বিচার চাইলে ছাটাইয়ের ভয় তো আছেই! সে জায়গায় দাঁড়িয়ে রুবানা হক জবাব দেবেন কি- এ প্রেক্ষাপটে নারী তো নারী এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে শুধুই মানুষ ভাববে? তিনিও সেই বহুল উচ্চারিত বহুশ্রুত উক্তি উদ্ধৃত করেছেন নারীই নারীর শত্রু!
নারীই নারীর শত্রু কথাটা বলে প্রকারান্তরে পুরুষতন্ত্রের দায় এবং পুরুষ দ্বারা নারীর ওপর সংঘটিত অপরাধকে আড়াল করা হয়। আর নারী যখন নারীকে নির্যাতন করে তখন সে নারীও আর নারী থাকে না সে পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করে। সে নারী হতে পারে কোনো জাঁদরেল শাশুড়ি, কোনো জাঁদরেল পুত্রবধূ কিংবা জাঁদরেল গার্মেন্টস মালিক নারীও। নারী যদি মানুষ হয় তবে তার কর্মক্ষেত্রে কেন এত মজুরি বৈষম্য, শোষণ নির্যাতন হয়রানি? দেড়শ’ বছর আগে আমেরিকার শিকাগো শহরের গার্মেন্টস কন্যাদের কর্মক্ষেত্রের মজুরি বৈষম্য, শোষণ নির্যাতন হয়রানি ও তাদের মানবেতর জীবনই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছিল। এ গার্মেন্টস কন্যাগণের শিকাগোর রাজপথের প্রতিবাদ মিছিল, পুলিশের গুলিতে আত্মাহুতি ও তাদের রক্তের শপথ নিয়ে সূচিত হলো যে আন্দোলন. সেই আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়লো পৃথিবীর দেশে দেশে সংঘটিত নারী আন্দোলনের সঙ্গে আর সৃষ্টি হলো বিশ^ নারী আন্দোলনের মিলন মোহনা। প্রতিষ্ঠিত হলো নারীর মর্যাদা বিষয়ক কমিশন, অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব নারী সম্মেলন আর রচিত হলো সিডো সনদ। সদস্য রাষ্ট্রগুলো চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হলো সিডো সনদে।
এ সিডো সনদ হলো নারী পুরুষের মাঝে বিরাজমান বৈষম্য বিলোপের দলিল। যে দলিলে স্বাক্ষর করেও বাংলাদেশ সরকার এমন কিছু ধারা বাস্তবায়নের পরিবর্তে ধর্মের দোহাই দিয়ে, প্রথার দোহাই দিয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছে। অথচ সংবিধানের ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিক ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান সুযোগ লাভের অধিকারী। ধর্ম বর্ণ লিঙ্গগত কারণে কারো প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না এবং কোনো প্রথা আইনে যদি বৈষম্যের কথা বলা থাকে তবে তা সংবিধানের ঐ ধারা অনুসারে যতটুকু অসামঞ্জস্য যতটুকু বৈষম্য তা আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদের আইনে নারী-পুরুষের বৈষম্য জিইয়ে রেখে নারী পুরুষের সমানাধিকার এসব মুখস্ত বুলি যে শুধু বাগাড়ম্বর মাত্র তা দুগ্ধপোষ্য শিশুও বোঝে। তাই একটা ছেলে শিশুও একটা মেয়ে শিশুকে ছোটবেলা থেকেই তাচ্ছিল্য করতে শেখে অথবা বলা যায় তাকে শেখানো হয়। তাই দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের অন্ধকার কোণ আর শহর নগর ও রাজধানীর আলো ঝলমল প্রাসাদ নারী নির্যাতনকারীর অভয়ারণ্য।
যাদের সকাল শুরু হয় খবরের কাগজের পাতা খুলে। তারা প্রকারান্তরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও হত্যার খবর দিয়ে দিনটি শুরু করেন। পত্রিকার পাতাজুড়ে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, খেলার মাঠ থেকে, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে, বাসের ভেতর, কর্মক্ষেত্রে এমন কি নিজের ঘরের ভেতরেও গড়ে ৫/৭টি কন্যাশিশু-কিশোরী তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণের হত্যার খবর থাকছেই। আমরা সবাই জানি পত্রিকার পাতায় সংঘটিত অপরাধের সামান্যই প্রকাশ পায়। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো এরকম যে একটি মেয়ে যখন ধর্ষণ নিপীড়নের শিকার হয় তা প্রকাশ পেলে সেই মেয়ে এবং তার পরিবার পচা কাঁঠালের মতো অপাঙ্ক্তেয় হয়ে যায়। সমাজ তাকেই ঘৃণা করে, ধিক্কার দেয়। অপরাধী বুক ফুলিয়ে হাঁটে ও নতুন কোনো অপরাধ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তাই নির্যাতনের শিকার সে কন্যা শিশু, কিশোরী, তরুণী, গৃহবধূ যেই হোক তারা ঘটনা চেপে রাখে। সে জন্য সব খবর আসে না। সব খবর মানুষ জানতে পারে না। যদি আসত, পত্রিকার পাতায় কিছু লেখার থাকত না।
গত দুই দশকে নারী ও কন্যা শিশুর ওপর সংঘটিত অপরাধের পরিসংখ্যানে তৃষা, সিমি, মহিমা, ফাহিমা, তনু, মিতু, রূপা, নুসরাত এরকম অসংখ্য নাম যুক্ত হয়ে নির্যাতন আর মৃত্যুর মিছিলকে শুধু দীর্ঘ করেছে। ব্যতিক্রম নুসরাতের ঘটনা ছাড়া একটিরও বিচার হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আজ জগদ্দল পাথরের মতো অসহায় নাগরিকের বুকের ওপর চেপে বসেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে কোনো অপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষক তারা যদি সমাজের অপাঙ্ক্তেয়ও কেউ হয়, শিক্ষা, সম্পদ, এবং বাহুবলে হীন হওয়া সত্ত্বেও অপরাধ করার পর সে পাওয়ার ফুল হয়ে যায়। এ পাওয়ার সে অর্জন করে সমাজের প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং সবকিছুর রাজনীতিকরণ সমাজের এমন কিছু মানুষকে অসীম ক্ষমতাধর করে দিয়েছে। যাদের শিক্ষা, জ্ঞান, বিবেক-বিবেচনাসহ কোনো মূল্যবোধ নেই।
অপরাধীরা অপরাধ করার পর নিজেকে বাঁচানোর জন্য এ সব অসীম ক্ষমতাধরের পায়ে পড়ে। তারা অমনি ওদের কোলে তুলে নেয়। এতদিনের শিক্ষা, সম্পদ এবং বংশগত ও বাহুবলে হীন লোকটি রাতারাতি এত পাওয়ার ফুল হয়ে যায়, সে যাকে নির্যাতন করেছিল তাকে তার পরিবারকে হুমকি ধামকি ভয় দেখিয়ে কেঁচো করে রাখে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন অসীম ক্ষমতাধরদের ইশারায় অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কালক্ষেপণ করে। মামলা নিতে গড়িমসি করে। মামলা যদিও বা নেয় তাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, অপরাধী সে যেই হোক তাকে ক্ষমা করা হবে না। এ রকম বুলি যতই ছাড়া হোক না কেন অপরাধীর শেষ পর্যন্ত বিচার হয় না তাই ক্রমাগত অপরাধ করতে করতে একদার তুচ্ছ মানুষগুলো কেবল মহাপরাক্রমশালী হয়ে ওঠে এবং তাদের ছত্রছায়ায় আরো অপরাধীর জন্ম হতেই থাকে আর দেশে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়তেই থাকে। এবং এভাবেই নারীর বিশ্ব দিনকে দিন সহিংস হয়ে উঠছে।
নারী-পুরুষ সকলেরই প্রথম পরিচয় সে মানুষ। তারপর সে নারী অথবা পুরুষ অথবা অন্য লিঙ্গ! তো নারী-পুরুষ সকলকেই ভাবতে হবে তারা নিজেরাও মানুষ, অন্যরাও মানুষ। কথা হচ্ছে- পুরুষতন্ত্র কাউকেই এভাবে ভাবতে শেখায় না। নারী যদি ভাবতে চায় তাকে ভাবতে দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় না নারী যদি নিজেকে মানুষ ভাবতে শেখে তাহলে তাকে ভোগ্যপণ্য বানানো যায় না। পুরুষতন্ত্র এবং তার সঙ্গে যুক্ত করপোরেট দুনিয়া নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে কেউ মোড়কবন্দি করে কেউ উদোম করে ছেড়ে দেয়। জড়বোধসম্পন্ন হয়ে থাকা নিজেকে শুধুই নারী ভাবা মানুষগুলোকে পরকালের ভয়, ইহকালের চাকচিক্যময় জীবন প্রলুব্ধ করে কখনো মোড়কবন্দি হতে, কখনোবা মোড়ক উন্মোচন করতে। অর্থের লোভ, পরকালের ভয় এদের পুরুষতন্ত্রের সেবাদাসীতে পরিণত করেছে। আর পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি, পর্নোগ্রাফির অবাধ প্রবাহে মানবিক মূল্যবোধহীন জড় পুরুষগুলো সে কিশোর তরুণ বৃদ্ধ যাই হোক এদের সকলকে উন্মাদ করে দিয়েছে। তাই বেড়ে গেছে ধর্ষণ, সন্ত্রাস যা করোনা ভাইরাস থেকেও ভয়াবহ। এটা শুধু প্রাণঘাতীই নয়, মানুষের নৈতিকতা ও মূল্যবোধে চরমভাবে ধস নামিয়েছে। যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় পরিণতি যে কী হবে তা ভাবতেও কি পারছি আমরা?
এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কি তবে নেই! অবশ্যই থাকবে। সমাধান আছে আমাদের সংবিধানে। সমাধান আছে আইনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আছে সিডো সনদ। সবকিছু বাস্তবায়ন করলে, সব আইন প্রয়োগ করলে আর নারীকে মানুষ ভাবতে শেখালে সেটা পরিবার সমাজ সব জায়গা থেকে চর্চা করলে, অপরাধীর যথাযথ বিচার হলে একদিন অবশ্যই এ মহামারি থামবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামাল বলেছিলেন, নারী মুক্তি মানেই মানবমুক্তি। তার বলার পরে জাতিসংঘও বলেছে- ‘নারীর অধিকার, মানবাধিকার’, ‘নারী নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘন’। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুধু নয়, আমাদের চেতনায় শাণ দিই। সকলেই মানবিক হয়ে উঠি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি। নারীর জন্য শান্তিপূর্ণ বিশ্ব তৈরি করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা
সূত্র : খোলা কাগজ