আকাশের সীমানা ছুঁয়ে তার ব্যক্তিত্বের উচ্চতা। সমুদ্রের গভীরতায় তার পা-িত্যের তলদেশ আর হৃদয়ের বিশালতা এমন যে সেখানে সকলের জন্য স্নেহ, মমতা ও নির্ভরতার আঁধার ছিল। আর ছিল বটবৃক্ষের মতো ছায়াদানের ক্ষমতা। আমার সৌভাগ্য যে, আমার মতো অতি সাধারণ একজন তার সেই ছায়ার নিচে আশ্রয় পেয়েছিলাম। আমার প্রতি তার স্নেহ ভালোবাসা মনোযোগ পাওয়ারও সৌভাগ্য হয়েছিল। তবু আকাশের তলায় বা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়েও যেমন আকাশ বা সমুদ্রের একটা খ-িত অংশকেই জানা যায় তেমনি তার কাছাকাছি গিয়েও সবটুকু কি আর জানতে পেরেছি?
বলছি যার কথা তিনি সদ্য প্রয়াত আয়শা খানম। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি। বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের কিংবদন্তি যিনি তার গোটা জীবনের সবটুকুই ব্যয় করে গেলেন নারীর অধিকার আন্দোলনের জন্য। নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক পরিবার, সমাজ-রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরির জন্য তার অবিরাম লড়াই সংগ্রাম নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ইতিহাসে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। তার সম্পর্কে আর কতটুকুই বলতে পারি আমি? কিন্তু বাইশ বছর ধরে একই আদর্শের পতাকাতলে থাকার সুবাদে দূর থেকেও একসঙ্গে চলেছি আমরা। বছরে কয়েকবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে কখনো দিনব্যাপী কখনো দুই তিন থাকার সুযোগ হতো। কখনো ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা গেলে মহিলা পরিষদে ঢুঁ মারাটা আমার একটা আনন্দের কাজ।
গেলেই তার সঙ্গে দেখা হলে তিনি সম্পাদকম-লীর টেবিলে আমাকে সাদরে আহ্বান করতেন বসার জন্য। কাউকে ডেকে বলতেন এই তোমরা সাথীকে কিছু খাবার দাও। ও কতদূর সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে। পরে বলতেন ও! এখন তো তুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকো। আমার বিয়ের পর পর যখন যেতাম তখন আপা হেসে বলতেন সাথী তো এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বউ। বারবার কথাটি বলে খুনসুটি করতেন। আমার বাবার বাড়ি নেত্রকোণার কলমাকান্দা। আপার বাড়ি দূর্গাপুরের পাশাপাশি। কলমাকান্দা কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আপার সফট কর্নার তাই আমি বলতাম আপা আমিও নেত্রকোণার মানুষ। আপা হাসতেন প্রশ্রয়ের হাসি। বলতেন সারা বাংলাদেশটাই তো আমার। কাজেই নেত্রকোণা আমার, সুনামগঞ্জ আমার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াও আমার। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বউ হিসেবেও তুমি আমার।
কাউন্সিল অধিবেশনে, জাতীয় সম্মেলনে, বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তার আলোচনা শোনার মধ্য দিয়ে যে আয়শা আপাকে চিনেছি, সকালে আলোচনার সেশন শুরু ও মঞ্চে বসার আগে অডিয়েন্সের আসনে সামনের সারিতে এসে বসা তাকে চিনেছি আবার নতুন করে। আমরা তার কাছে গিয়ে বসতাম নয়ত দাঁড়াতাম তিনি হেসে কুশল জিজ্ঞেস করতেন প্রথমে ব্যক্তিগত তারপর সাংগঠনিক। কখনো আমরা দাঁড়িয়ে আছি আর তিনি হেঁটে আসছেন, আমরা আপা, কেমন আছেন বলতেই সস্নেহ আলিঙ্গনে তার হৃদয়ের উষ্ণতায় আমাদের ভরিয়ে দিতেন। একের পর একজনকে। সকলেই ভাবত তিনি তাকেই বুঝি বেশি ভালোবাসেন।
কোনো কোনো সভায় কখনো নির্ধারিত সময়ের আগে চলে আসতেন তিনি। তখন নানা বিষয়ে গল্প করতেন। বিশেষ করে ওই দিনের পত্রিকায় হয়তো বিশেষ কোনো লেখা নয়ত টেলিভিশনের বিশেষ কোনো সংবাদ সেটা রাজনৈতিক সামাজিক বা সাহিত্যের কোনো বিষয় যাতে বতর্মান সমাজ রাজনীতির আশাব্যঞ্জক কিছু বা হতাশাজনক চিত্র বা এই নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করার মতো সাহস দেখিয়েছে কোনো লেখক তিনি পড়ে মজা পেয়েছেন বা ভালো লেগেছে সেরকম কোনো বিষয়ে রিপোর্টটা কাউকে দিয়ে পড়ালেন নয়ত নিজেই পড়ে শোনাতেন। সময়টা খুব উপভোগ্য হতো এবং কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবনার প্রচলিত গতিপথটাকে পাল্টে নতুন দৃষ্টিতে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করতেন। দেখেছি কয়েকটি কাজে একসঙ্গে চলতে গিয়ে। কিন্তু তার বিশাল বিপুল কর্মযজ্ঞে এত গোস্পদের জল।
তারপরও আমার সীমিত অভিজ্ঞতার সেই আয়শা আপাকে নিয়ে লিখতে বসেও আমি হিমশিম খাচ্ছি কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি? তিনি বাষট্টির ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলনে, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে এবং মুক্তিযুদ্ধে যা ভূমিকা রেখেছেন তারও উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। আমরা সেসব শুনেছি। পড়ে জেনেছি এবং গত দুদিন ধরে অনেকের লেখায় জানতে পারছি স্বাধীনতা পরবর্তীকালেও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবেও নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং নারী আন্দোলনের বিকাশে সময় দিতে গিয়ে চাকরি ক্যারিয়ার সবকিছুর মোহ কী অবলীলায় ছেড়ে দিয়ে নারী আন্দোলনকেই ধ্যানজ্ঞান করেছেন। নিজে তৈরি হয়েছেন এবং অন্যকেও তৈরি করছেন।
১৯৯৯ সালে মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সদস্য হিসেব কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় ইউনিফর্ম ফ্যামেলি কোড বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে এসে প্রথম আয়শা আপার সঙ্গে আমার দেখা হয়। সেই প্রথম তার বক্তব্য শোনার সৌভাগ্য হয় আমার। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন কেন জরুরি তার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের যেসব ধারায় সমতার কথা আছে, সেসব ধারা, সিডও সনদ, বেইজিং চতুর্থ আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনের পরিকল্পনা ও ১৯৯৭ এর জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির প্রসঙ্গ টানলেন। তারপর থেকে জাতীয় পরিষদ সভাসহ বছর ভরে কত কর্মসূচি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি তার সুদীর্ঘ বক্তৃতা আলোচনায় আমাদের শিখিয়েছেন, তৈরি করেছেন। আর শুধু তৈরি করেননি তাদেরকে রক্ষা করতেও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে ২০০৭ সালে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা মানে আমি আর গৌরিদি (বতর্মানে সুনামগঞ্জের সভাপতি আর আমি তখন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক) একটা পেশাগত বিপদে পড়ি।
আসলে বিষয়টি ছিল কি জেলার তাহিরপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে একটি মেয়ে খুন হয়। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করে সত্যতা পাই। কিন্তু মেয়েটির বাবা সুদূর লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা হওয়ায় আসামি পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে বিচার কাজ বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছিল। আমরা তখন সেই প্রান্তিক গ্রাম লক্ষ্মীরপাড়ের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সী মানুষদের নিয়ে সারা গ্রামজুড়ে মিছিল করি ও খুনীদের শাস্তির দাবিতে সেøাগান দিই। তাতে গ্রামের মানুষ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে ও আদালতে এর উপযুক্ত বিচার হয়। সেই আসামিদের এক আত্মীয় হলুদ সাংবাদিক (যাকে মদদ জোগাচ্ছিল প্রভাবশালী কেউ যারা চাইছিল না আমরা সংগঠনে নেতৃত্ব দিই) এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার আর গৌরিদির বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট করে যে, আমরা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে সংগঠনের নামে গ্রামের মানুষকে উসকানি দিয়েছি। এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আমাদের দুজনকেই যার যার অফিস থেকে শোকজ করে যে, আমরা এরকম সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারি না। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এতে পেশাগত ভাবে আমরা হুমকির সম্মুখীন হই। এরকম পরিস্থিতিতে বিষয়টি আমরা কেন্দ্রকে জানাই। আয়শা আপা তখন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার সম্পাদকম-লীর কয়েকজনকে (যাদের মধ্যে দুজন আইনজীবী) নিয়ে সুনামগঞ্জ ছুটে গেলেন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন সংগঠনের ঘোষণাপত্র, সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনসহ আরও চাকরিবিধির পরিপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যাতে লেখা আছে একজন সরকারি-কর্মচারী তার ডিউটির পর অবসর সময়ে ও ছুটির দিনে কোনো ননপ্রফিটেবল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করতে পারে। এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপা আমাদের দুজন যে যে ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি তার জেলার প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বুঝাতে সক্ষম হলেন যে, পেশাগত দায়িত্ব পালন সুষ্ঠুভাবে করার পর আমরা ওই সংগঠনের কাজ করে কোনো অপরাধ করিনি। আমাদের অফিস প্রধানগণ সন্তুষ্ট হলেন এবং আয়শা আপাদের শুধু এই কারণে এতদূর ছুটে আসতে হয়েছে বলে দুঃখও প্রকাশ করলেন।
কর্মী সংগঠককে বাঁচাতে এভাবে ছুটে যাওয়া তার মতো মানুষের পক্ষে তো একটা স্বাভাবিক ঘটনা। সারা জীবন তিনি যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সেখানেই ছুটেছেন, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে সেখানে ছুটে গেছেন। সম্ভবত ২০০৮ অথবা ২০০৯ সাল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুধন্তী ইউনিয়নে একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে মোল্লারা তাকেই ফতোয়া দেয়। সেই ফতোয়া বন্ধ করতে আয়শা আপা সঙ্গীদের নিয়ে ছুটে এলেন বুধন্তী। এলাকার জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী, কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে কথা বললেন, উদ্বুদ্ধ করলেন। আমি জানি দেশের যে প্রান্তেই এমন ঘটনা ঘটেছে তিনি ছুটে গেছেন। মৌলভীবাজারের ছাতকছড়ার নূরজাহানের বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজির ঘটনা সবাই জানে। তার নেতৃত্বে মহিলা পরিষদের আন্দোলনের ফলেই সরকার ফতোয়াকে নিষিদ্ধ করে। তারপরও যখনই ফতোয়াবাজি হয়েছে তিনি ছুটে গেছেন বারবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর গ্রামে একের পর এক ফতোয়াবাজি ঘটছেই। সেজন্য ২০১১ সালের আন্তজার্তিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে এলেন চিনাইর বাজারে সভা করতে।
তিনি বলতেন আমাদের মহিলা পরিষদ কর্মীদের হতে হবে ডাইনামিক। সেটার প্রতিফলন দেখলাম সেই সভায়। আমরা যখন সভা করছি তখন আসরের নামাজের সময়, তিনি অপেক্ষা করলেন। নামাজ শেষ হলো। সভায় যারা এসেছে তারা সব মুসল্লি। টুপি মাথায়। আয়শা আপা বক্তৃতা করছেন। তার মাথায় ঘোমটা। আমরা বুঝলাম এখানকার মানুষদের ফতোয়াবাজির বিরুদ্ধে সচেতন করাই আসল লক্ষ্য। কাজেই তাদের আস্থায় নিতে হবে।
আয়শা আপা মানুষের সৃজনশীলতাকে খুবই গুরুত্ব দিতেন। কেউ লড়াই সংগ্রাম করে দাঁড়িয়ে গেলে তাকে অভিনন্দন জানাতেন সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে। ফতোয়ার শিকার চিনাইর গ্রামের রত্না বেগম মহিলা পরিষদের সহযোগিতায় এবং নিজের প্রচেষ্টায় আজ আইনজীবী। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন রত্নাকে সংবর্ধনা দেবেন। এক জাতীয় পরিষদ সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্টের অ্যাডভোকেট রত্নাকে সংবর্ধিত করা হলো। আপা রত্নাকে মঞ্চে নিজের পাশে বসালেন এবং শুধু রত্না নয় জাতীয় পরিষদ সভায়, সম্মেলনে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন কৃষক নারী, গার্মেন্ট শ্রমিকসহ প্রান্তিক নারীরা। মহিলা পরিষদ এমনই। আয়শা আপা এমনি।
অথচ আয়শা আপা শিক্ষায় জ্ঞানে সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থান করেছেন এ দেশের এ সমাজের। কিন্তু কি সাদাসিধে জীবন। তার কাছে সকলেই মানুষ তার আর কোনো পরিচয় নেই। সত্যিকারের জ্ঞানী মানবিক মানুষ এরকমই হয়। তাই তিনি সব সময় তার সকল আলোচনায় পঠন পাঠনের ওপর জোর দিতেন। কেন্দ্রসহ জেলার সকলের উদ্দেশ্য। তিনি এমন সব বইয়ের রেফারেন্স দিতেন, পড়ার জন্য বলতেন যে, ভাবি কত অসীম তার পড়াশোনার পরিধি। একবার বললেন সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন নারী’ পড়তে। সে বই আর বাজারে পাই না। কোনো পাবলিক লাইব্রেরিতে পাই না। তখন ইন্টারনেট সহজলভ্য নয়। শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে ইন্টারনেট থেকে বের করলাম সে বই। অথচ এর আগে এই লেখকের নামই শুনিনি।
আজ আয়শা আপা নেই। কিন্তু তার অসংখ্য বক্তব্যের চুম্বক অংশগুলোর নোট আমার কাছে রয়েছে। আছে তার অনেক লেখা। রয়েছে তার কর্মময় জীবনের ইতিহাস। এসবের মধ্যেই আয়শা আপা থাকবেন চিরপ্রেরণাদাত্রী হিসেবে। আপনাকে ভুলব না আয়শা আপা। প্রণাম আপনাকে।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা
সূত্র : খোলা কাগজ