ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ও নারী নেত্রী আয়শা খানম
গত এপ্রিলে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেই রায় আমরা এত দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে গেছি, যা খুবই ইতিবাচক একটি ঘটনা। গত কয়েক বছরে যেসব নির্মম ঘটনা ঘটেছে এ রায় সেগুলোর ক্ষেত্রে একটা ইঙ্গিত বহন করছে।
এ রায়ের কারণে নুসরাতের এলাকার মানুষ, দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে। আইন কারও দ্বারা প্রভাবিত করা যায় না– এ রায় সেটাই প্রমাণ করেছে।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারাদেশে নাগরিক, নারী আন্দোলন, প্রতিবাদ সভা হয়েছে। কারো মধ্যে কলুষতা ঢুকলে সেটা গোটা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রচলিত ধারণায় আমরা জানতাম, মাদ্রাসা কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যরকম মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু নুসরাতের প্রতি অধ্যক্ষ সিরাজের আচরণ আমাদের সে বিশ্বাস তছনছ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের প্রতি আমাদের বিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব এ রায় কার্যকর করতে হবে।
যদি নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মতো এ রকম বিচার আরও আগে হতো, তাহলে মানুষ এরকম কাজ করতে ভয় পেত।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
তথ্যসূত্র : দৈনিক সমকাল